Tuesday, August 24, 2010

ইবনে সিনা
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে
- মুহাম্মাদ নুরুন্নাবী বিন মুহাম্মাদ মুস্তফা
জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ
ইবনে সীনা ধরনীর ইতিহাসে এক অমর নাম তার পুরা নাম হল "হুসাইন বিন আব্দুল্লাহ আল হাসান বিন আলী বিন সীনা" বুখারার (বর্তমান উজবেকিস্তান) অন্তর্গত "আফসানা" নামক স্থানে (৩৭০হিঃ / ৯৮০খ্রিঃ) জম্ন গ্রহন করেন । তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ আর মাতার নাম সিতারা যিনি প্রাচ্যে ইবনে সিনা (Ibn sina)আর পাশ্চ্যাত্যে (Avicenna)নামে সর্বাধিক পরিচিত
শিক্ষা জীবনঃ
প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন ইবনে সীনা। মাত্র দশ বছর বয়সেই তিনি পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেন । কোরআনের পাশাপাশি তিনি তিনজন গৃহ শিক্ষকের কাছে ধর্মতত্ত্ব, ফিকাহ্‌, তাফসীর, গণিত শাস্ত্র, দর্শন, ন্যায়শাস্ত্র, জ্যামিতি প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি তখনকার দিনে প্রচলিত প্রায় সকল জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। এ সময় তিনি ‘হাকিম' অর্থাৎ বিজ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান উপাধিতে ভূষিত হন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, রাজনীতি, গণিত, জ্যামিতি, ন্যায়শাস্ত্র, খোদাতত্ত্ব, চিকিৎসা বিজ্ঞান, কাব্য ও সাহিত্য বিষয়ে অসামান্য পান্ডিত্য অর্জন করেন। ২১ বছর বয়সে তিনি আল মুজমুয়া নামে একটি বিশ্ব কোষ রচনা করেন। এতে তিনি গণিত ছাড়া সব বিষয় লিপিবদ্ধ করেন।

উপাধীঃ
প্রাচ্যের মুসলিম পন্ডিত গন তাকে " আল-শায়খ আল-রাঈস" তথা "জ্ঞানীকুল শিরোমণি" হিসেবে আখ্যায়িত করেন । আর পাশ্চাত্যে “the prince of physicians” , “Doctors’ Doctor” , “Galenus of Islam,” প্রভৃতি উপাধীতে ভূষিত হন ।
গ্রন্থাবলীঃ
* ডক্টর আব্দুল হালিম মুন্তাসির বলেনঃ সীনার ছোট বড় প্রায় ২৭৬ টি গ্রন্থ রয়েছে
* তুর্কীর গবেষক ওসমান আরজান ১৯৩৭ সালে ইবনে সীনার ঊপর এক গবেষনা কর্মে সীনার ১৩১ টি কিতাবের ১৫০০ টি পান্ডুলিপি ৫৬ টি লাইব্রেরী থেকে উদ্ধারের কথা উল্লেখ করেন ।
তিনি ১৬৫৬ সালে উপরোক্ত গবেষনা কর্মে আরো সংযোযন করেন ।
* জর্জ সাহাতা কানাওতী তার "মোওল্লাফাতে ইবনে সীনা " বা ( ইবনে সীনার গ্রন্থাবলী ) শিরনামে তুরুষ্কের বিভিন্ন লাইব্রেরীতে অবস্থিত পাণ্ডুলিপি গুলোর অবস্থা ও অবস্থান জানিয়ে এক গবেষনা লব্ধ তালিকা তৈরী করেন যা তিনি ১৯৫০ সালে আরব লীগ ইউনিভার্সিটি কর্তিক আয়োজিত " ইবনে সীনা স্বারক সেমিনারে " পেশ করেন । তিনি ও সীনার ২৭৬ টি গ্রন্থের বিস্তারিত আলোচনা করেন।
* তেহেরান ইউনিভার্সিটির উস্তাজ ইয়াহিয়া মিহদাবী ইবনে সীনার গ্রন্থাবলীর উপর গবেষনা করে " ফিহিরিস্ত মোসান্নাফাতে ইবনে সীনা " নামক পুস্তকে ইবনে সীনার অনেক পান্ডুলিপির কথা উল্লেখ করেন । আর তিনি এই গবেষনার ক্ষেত্রে বিশের বড় বড় লাইব্রেবী সুমূহে সীনার গ্রন্থাবলীর অনুসন্ধান করেন।
উল্লেখ্য যেঃ সীনা তার সব গ্রন্থাবলী আরবী ও ফার্সি ভাসায় রচনা করেন।

সীনার কিছু গ্রন্থাবলীর নামঃ
* আল কানুন ফিত্ তীব (১৮ খন্ডে)
* আশ – শিফা (২০ খন্ডে)
* আল ইনসাফ (২০ খন্ডে) সীনা উক্ত বইটিতে (যুক্তি বিদ্যা, পদার্থ
বিজ্ঞান, ও দর্শন শাস্ত্রের ) ২৮ হাজার মাসয়ালার সামাধান দেন।
* আরজুজা ফিত তীব।
* কিতাবুন নাজাত ।
* আল ইশারাত ওয়াত তানবীহাত ।
* কিতাবুল হুদুদ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে সীনাঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য সীনা পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে তার রচিত " আল কানুন ফিত্ তীব " বা "The Canon of Medicine " কে " encyclopedia of medicine" বা চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ বলা হয় তার এই মাইল স্টোন পুস্তক "কানুন"Leonardo da Vinci (লিওনার্ডো দ্য ভিনসিকে) ও প্রভাবিত করেছিল। কানুন বারশ শতকে ল্যাটিন ভাষায় অনুদিত হয়ে প্রায় আঠারোশত শতক পর্যন্ত পৃথিবীতে চিকিৎসা শাস্ত্রের টেক্স্ট বুক হিসেবে গন্য হত । D.Osler আল কানুন কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেল বলে আখ্যায়িত করেন তার ভাসায়ঃ “The Canon has remained a medical Bible for a longer period than any other book." Dennis Overbye বলেনঃ He compiled a million-word medical encyclopedia, the Canons of Medicine, that was used as a textbook in parts of the West until the 17th century .বইটিতে 760 টি জটিল রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়।
Cyril Elgood : কানুন সম্পর্কে বলেনঃ "...a great work that was the result of careful examination and much thought" সীনার "কানুন" ও অনান্য গ্রন্থ সমূহ পাচ্যের প্রায় সব ভাসায় ই অনুবাদ করা হয় এবং পাচ্যের প্রায় মানুষেরই নিজস্ব লাইব্রেরীতে স্থান পায় । এ দিকে ইঙ্গিত করে Siraisi.N. বলেন "Avicenna's books also generated considerable interest of the traditional European academic setting . His book The Canon was an essential part of every professional mans home library. His influence grew so great that the vernacular from his books was used in everyday settings" এই মহান মনীষীর স্মরণে প্রতি বছর ২৩শে আগস্ট ইরানে চিকিৎসক দিবস পালন করা হয়। সীনার ভাষ্কর্য এখনো ফ্রান্সের প্যারিস ইউনিভার্সিটীর সামনে অবশিত রয়েছে ।

দর্শন ও জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্যান্ন শাখায় সীনাঃ সীনার ২য় চমকপ্রদ গ্রন্থ "আশ শিফা " (The book of healing) কে philosophical
Encyclopedia বলা হয়। তাইতো Roger bacon দর্শনে সীনার অবদান মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেনঃ "the chief authority in philosophy after Aristotle " বিশ খন্ডে বিভক্ত এই বইটিতে দর্শন ছাড়াও, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রাণীতত্ত্ব, উদ্ভিদতত্ত্ব সহ জগৎ ও জীবনের প্রায় সকল বিষয়কেই অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷ বইটির গুরুত ও আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বলা হয়ঃ Kitab Ash shifa , the largest book of this kind ever written by one man. In it he discussed logic, natural science, psychology, theology, geometry, astronomy, arithmetic, music, and metaphysics .উক্ত বইটির তাৎপর্য বর্ণনায় The foundation for Science Technology and Civilisation(FSTC)র গবেষক Munim M. Al-Rawi বলেনঃ the famous Encyclopaedia of philosophy and natural sciences had influenced European scientists during the renaissance because of its being in a comprehensive and encyclopaedic from . Although avicenna is better known in Medicine and Philosophy ,
David W. Tschanz বলেনঃ Al Kitab ash-shifa(The book of healing)is the longest treatise on philosophy ever written by a single man .

উপসংহারঃ এই মহান মনীষী (428 হিঃ/1037খ্রিঃ) মাত্র 57 বছর বয়সে পারস্যের হামাদানে (বর্তমানে ইরান) ইহকাল ত্যাগ করেন । ইরানের হামাদানে এখন ও সীনার সমাধিসৌধ অবস্থিত। ইন্তেকালের কিছুক্ষন পূর্বে সীনা তার সব কিছু আল্লাহর রাস্তায় দান করেন এবং মহান আল্লাহর কাছে শেষ বারের মত তাওবা ও ফরিয়াদ করেন । সীনার স্মরণে প্রতি বছরের ২৩শে আগস্ট ইরানে চিকিৎসক দিবস পালন করা হয়। তার ভাস্কর্য পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ও বিদ্যমান। সীনার ইন্তেকালের ১০০০ বছর পরে ও পৃথিবীর মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করে ।

Monday, March 29, 2010

Sunday, March 21, 2010

Thursday, March 4, 2010

بسم الله الرحمن الرحيم

{قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ}

অনুবাদঃ আপনি বলুন, আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তাঁরই দয়া , এবং সেটারই উপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিৎ । তা তাদের সমস্ত ধন-দৌলত অপেক্ষা শ্রেয় । (সুরা য়ূনুস আয়াতঃ ৫৮)

অন্ধকারে নিমজ্জিত , ভ্রান্ত মতবাদে লিপ্ত ,গোত্রীয় যুদ্ধে মত্ত , অশান্তির দাবানলে দগ্ধ , মূর্তি পুজায় ব্যস্ত মানুষদেরকে আলোর পথে আহ্বান করতে মহান আল্লাহ তায়ালা মানবতার মুক্তির দূত ,কল্যাণের আঁধার , সাম্য ও ন্যায়ের প্রতীক , হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মরু প্রান্তরে , মক্কা নগরীতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৫৭০ খ্রিঃ প্রেরণ করেন ।

যিনি সত্যের ও শান্তির বাণী নিয়ে আগমন করেছিলেন। তাইতো তিনি সমগ্র বিশ্বের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সৃষ্টি জীবের প্রতি এক মহান অনুগ্রহ । পবিত্র কোরানে ইরশাদ হচ্ছেঃ "আমি আপনাকে সমস্ত বিশ্বের জন্য রাহমাত (অনুগ্রহ ) স্বরূপ প্রেরণ করেছি।" [1] তাঁর উপর অবতীর্ণ করা হয় বিজ্ঞানময় এক সংবিধান, যার নাম "আল-কোরান" ।মহান আল্লাহর বাণীঃ "কুরান যা আমি আপনার উপর অবতীর্ণ করেছি মানুষদেরকে অন্ধকারের গহবর থেকে আলোয় নিয়ে আসতে" [2]।তাই মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রেরিত দূত এবং তাঁর উপর অবতীর্ণ এই সংবিধানের মাধ্যমে মানুষদেরকে ইসলামের সুমহান রাস্তা দেখিয়েছেন ।আর এটাই মহান আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম বা রাস্তা ।
তাইতো ইসলাম মানব মন্ডলীর জন্য এক অপূর্ব অনুগ্রহ । এইজন্য শিরোনামে উল্লেখিত আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে খুশি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন ।

অধিকাংশ তাফসীর কারকগণ উক্ত আয়াতে দয়া ও অনুগ্রহ বলতে রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)[3],পবিত্র কোরান[4], ও ইসলাম কে বুঝিয়েছেন। কেননা, উল্লেখিত নিয়ামত গুলো অন্যান্য নিয়ামত কিংবা অনুগ্রহের তুলনায় দামী কিংবা সমস্ত (নিয়ামতের) বা অনুগ্রহের আঁধার । তবে আলোচ্য আয়াতে দয়া ও অনুগ্রহ বলতে সমস্ত অনুগ্রহের কথা বুঝানো হয়েছে। যেহেতু উক্ত আয়াতটি সাধারণ কিংবা ব্যাপক অর্থের জন্য ।
মহান আল্লাহ প্রদপ্ত সমস্ত নিয়ামতের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছে তাঁর প্রেরিত রাসূলগণ। যেহেতু তাঁদের উপর কিতাব অর্পিত হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "নিশ্চয় আল্লাহর মহান অনূগ্রহ হয়েছে মুসলমানদের উপর যে, তাদের মাঝে তাদেরই মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরন করেছেন , যিনি তাদের উপর তাঁর আয়াত সমূহ পাঠ করেন, তাদেরকে পবিত্র করেন ।আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত (বিজ্ঞান ) শিক্ষা দান করেন । তারা নিশ্চয় এর পূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিলো" [5]। আর সমস্ত রাসূলদের সরদার হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। পবিত্র হাদীছ শরীফে এসেছে- “ আমি সমস্ত আদম সন্তানদের সরদার কিংবা প্রধান"। [6] আরো এসেছে " হে মানব মন্ডলী নিশ্চয় আমি (আল্লাহর পক্ষ হতে ) প্রেরিত অনুগ্রহ (রাহমাত)[7]। তাইতো নবীজির একটি নাম হচ্ছে " আর- রাহমাতুল মোহদাহ[8] বা (নিবেদীত অনুগ্রহ )।সুতরাং আমাদেরকে ঈদ-ই-মীলাদুন্নাবী(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপনের মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করা উচিৎ।
---------------------------------------
[1] - সূরা আল আম্বিয়া আয়াত নং ১০৭ ।
[2] - সূরা ইব্রাহিম আয়াত নং ১ ।
[3] - ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতি (৮৪৯ – ৯১১ )হিঃ তার উল্লেখ যোগ্য তাফসির আদ্ দুররুল মানছুরের মধ্যে প্রখ্যাত সাহাবী হযরত ইবনে আব্বাসের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছেন । দেখুন আদ্ দুররুল মানছুরে ( ৪ / ৩৬৭ ) , ইমাম ইবনে আতিয়া আল-আন্দুলুসী তার আল্ মোহাররা উল ওয়াজিযে উল্লেখ করেছেন (৩ / ১৪৩), ইমাম আবু হাইয়্যান আল – আন্দুলুসী তার আল বাহারুল মুহিতে (৫ / ১৩৭ ) , ইমাম সাহল তাশতুরী তার তাফসীরে তাসতুরীতে ( ১ / ২১৭ ) , ইমাম ইবনুল জাওযী (৫০৮ – ৫৯৭ )হিঃ তার যাদুল মাছি্রে (৪ / ৪০ )প্রমূখ ।
[4] -প্রায় সমস্ত তাফসীর কারকগণই উল্লেখ করেছেন। যেমন ইমাম সুয়ুতী তার আদ দুররুল মানছুর (৪ / ৩৬৭ ), ইবনে আজিবা তার আল বাহারুল মাদীদে (৩ / ২৩১ ) , ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী ( ৫৪৪ – ৬০৬ )হিঃ তার কবীরে ( ১৭ / ২৭২ ) , ইমাম ইবনে আতিয়া আল-আন্দুলুসী তার আল্ মোহাররা উল ওয়াজিযে উল্লেখ করেছেন (৩ / ১৪৩), ইমাম আবু হাইয়্যান আল – আন্দুলুসী তার আল বাহারুল মুহীতে (৫ / ১৩৭ ), ইমাম ইবনুল জাওযী (৫০৮ – ৫৯৭ )হিঃ তার যাদুল মাছি্রে (৪ / ৪০ ) .
[5] - সূরা আল-ই-ইমরান আয়াত নং ১৬৪ ।
[6] উল্লেখিত চয়নটি হাদীছের অংশ বিশেষ হাদীস খানি ইমাম মুসলিম তাঁর সাহীহ মুসলিমে( ৭ / ৫৯ ) , ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে ( ১৬ / ৫৭০ ) , ইমাম তাবব্রানী তার মু,জামুল আওসাতে ( ২ / ১২৭ ) , ও তার মু,জামুল কবীরে ( ৩ / ৮৮ ), ইমাম আবূ দাউদ তার সূনানে ( ৪ / ৩৫১ ) , ইমাম তিরমিজি তার সুনানে ( ৫ / ৩০৮৯ ) , হাফেজ বায়হাকী তার সু,য়াবুল ঈমানে ( ২ / ১৭৮ ) , হাফেজ ইবনে হিব্বান তার সাহীহে ( ১৪ / ৩৯৮ ), ইবনে আবী শায়বা তাঁর মুসান্নাফে ( ৭ / ৪৩০ ) , হাফেজ হাকিম তার মুসতাদরাকে ( ২ / ৬৬০ ), ইসপাহানী তাঁর হিলিয়ার ( ১ / ৬৩ ) মধ্যে উল্লেখ করেছেন ।
[7] ইমাম হাকিম তাঁর মুসতাদরাকে কিতাবুল ইমান অধ্যায়ে ( ১ / ৩৫ ) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন এবং ইমাম জাহাবী ইন্তিঃ ৭৭৪ হিঃ তাঁর তালখীসের মধ্যে বিশুদ্ধ বলেছেন। এ ছাড়া ইমাম তাবরানী তাঁর আল মু,জামুস সাগীরে ( ১ / ১৯৫ ) , হাফেজ নুর উদ্দীন হাইছামী তার মাজমা উজ আল জাওয়ায়েদে ( ৮ / ২৫৭ ) , ইমাম বায়হাকী তার দালায়েল উল আন্ নাবুয়াতে ( ৬ / ২৯৯ ) , ইবনে সাদ তার তাবাকাতের ( ১ / ১২৮ ) , ইমাম আব্দুল বাকী তার জুরকানী আলাল মাওয়াহেবে ( ৩ / ১৩১ ) উল্লেখ করেন ।
[8] ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী ( ৮৪৯ – ৯১১ )হিঃ তাঁর আর রাওদুল আনিকা ও তাঁর প্রণিত আন্ নাহাজা তুস সাবীয়া ফি আসমা ইন নাবাবীয়া পৃষ্ঠা নং ১৪৮ উল্লেখ করেন ।