Sunday, November 15, 2009

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর পরিচয়ঃ

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العالمين وصلى الله على سيدنا محمد و على أله الطيبين وأصحابه الطاهرين . أما بعد :
অন্ধকারের ধূম্রজালে আবদ্ধ,ভ্রান্তির শৃংঙ্খলে বেষ্টিত,কুফর ও শিরকের দাবানলে দগ্ধ,পৃথিবীর মোহে আসক্ত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় দিশেহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দানের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুক্তির দূত ,পথ হারা মানুষের সুপথের দিশারী ,রাহামাতুল্লিল আলামীন সায়্যিদুনা মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর পক্ষ থেকে রাসূল হিসাবে এ ধরাধামে পাঠিয়েছেন । তাঁর আগমনের পর হক-বাতিলের সঠিক পরিচয় সকলের নিকট স্পষ্ট হয়ে উঠে । অসত্যের সকল নিশানা থেকে সত্য তার সর্বাঙ্গ সুন্দর রূপ নিয়ে বের হয়ে আসে।
মহান আল্লাহর অপার কৃপায় ও তাঁর বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহান করে । মানব হিতৈষী এ মহা মানব দীর্ঘ ৬৩ বছর এ পৃথিবীতে জীবন যাপন করে মানুষকে সত্যপথের সন্ধান দিয়ে বন্ধুর মিলনে গমন করেন অনন্ত জগত আখিরাতের পানে।সঠিক পথের পাথেয় হিসাবে উম্মাতের কাছে রেখে যান দুটি মহা মূল্যবান সম্পদ তথা পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ।হাদীস শরীফে এসেছেঃ
إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : تركت فيكم أمرين لن تضلوا ماتمسكتم بهما كتاب الله و سنة نبيه (صدق رسول الله صلى الله عليه وسـلم )
প্রত্যেকটি জ্ঞানকে গ্রন্থ থেকে মন্থন করার জন্য শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য । তাইতো মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাযিল করে ক্ষান্ত হননি।বরং তাঁর সাথে পবিত্র গ্রন্থকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সায়্যিদুনা রাসূল পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে শিক্ষক হিসাবে প্রেরণ করেছেন । যিনি সুন্নাহের মাধ্যমে উহাকে শিক্ষা দিয়েছেন।
ঠিক তেমনি মহা মূল্যবান দুটি জিনিস তথা পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে জীবন গঠনের জন্য শিক্ষক বা আদর্শ হিসাবে সায়্যিদুনা রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেখে গিয়েছেন তাঁর পবিত্র বংশধর ,ছিদ্দীকীন ,সাহাবায়ে কিরাম এবং আউলিয়া কিরামগণকে।যাদের আদর্শ অনুসরনের জন্য আমাদেরকে আদেশও করেছেন।
** তাঁর পবিত্র বংশধরগণের আদর্শ অনুসরন করা সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال : رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فى حجته يوم عرفة وهو على ناقته القصواء يخطب فسمعته يقول:( ياأيها الناس إنى تركت فيكم ماإن أخذتم به لن تضلوا:كتاب الله وعترتى أهل بيتى .....)

অন্যত্র এসেছেঃ
عن حبيب بن أبى ثابت عن زيد بن أرقم قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : إنى تارك فيكم ما إن تمسكتم به لن تضلوا بعدى احدهما أعظم من الأخر : كتاب الله حبل ممدود من السماء إلى الأرض و عترتى أهل بيتى

*সাহাবা কিরামের আদর্শ অনুসরনের ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে:
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال :خطبنا عمر بالجابية فقال :يا أيها الناس :اني قمت فيكم كمقام رسول الله صلي الله عليه وسلم فينا فقال : أوصيكم بأصحابى ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم

অন্য হাদিসে এসেছে
عن عبد الله بن عمر قال :قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : …وإن بنى إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتى على ثلاث و سبعين ملة كلهم فى النار إلا ملة واحدة قالوا: ومن هذا يا رسول الله ؟ قال : ما أنا عليه وأصحابى

উল্লেখ্য যে,৭৩ ফেরকা সম্পর্কে ছাহীহ হাদীছে এসেছেঃ
عن أبي هريرة رضي الله ان رسول الله صلي الله عليه وسلم قال:(تفرقت اليهود علي احدي وسبعين فرقة ،أو اثنتين و سبعين فرقة و النصاري مثل ذلك،وتفترق أمتي علي ثلاث وسبعين فرقة)6
**ছিদ্দীকীন এবং আউলিয়া কিরামগণের আদর্শ অনুসরন সম্পর্কে পবিত্র কুরান মাজীদে সিরাতে মুস্তাকীমের পরিচয় দানের মধ্য দিয়ে এসেছেঃ
صراط الذين أنعمت عليهم (الفاتحة)

(আল্লাহ তায়ালা যাদের উপর নিয়ামত দিয়েছেন তাঁদের পথ সিরাতে মুস্তাকীম)
আর মহান আল্লাহ তায়ালা যাদের উপর নিয়ামত দান করেছেন তাঁরা হচ্ছেন নিম্নোক্ত আয়াতে উল্লেখিত আম্বিয়া-মুরছালীন,ছিদ্দীকীন,শোহাদা এবং আউলিয়া কিরাম।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
ومن يطع الله والرسول فأولئك مع الذين أنعم الله عليهم من النبيين والصديقين والشهداء والصالحين و حسن أولئك رفيقا 7
উপরোক্ত আয়াত প্রমাণ করে যে,নাবী-রাসূলগণ,সাহাবা কিরাম এবং আউলিয়া কিরামগণের পথ ও মতের উপর থাকাই হচ্ছে সিরাতুল মুস্তাকীমের উপর থাকা।
তাই বলা যায়,আম্বিয়া–মুরছালীন,ছিদ্দীকীন,শোহাদা,রাসুল পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পবিত্র বংশধর,সাহাবা কিরাম এবং আউলিয়া কিরামগণের পথ ও মতের অনুসরনই হচ্ছে "সিরাতে মুস্তাকীমের" অনুসরন ।তাঁদের আদর্শ গ্রহণই হচ্ছে কুরআন এবংসুন্নাহের অনুসরন। আর তাঁদের অনুসারীগণই হচ্ছে নাজাত প্রাপ্ত দল ।হাদীস শরীফে যাদের নামকরণ করা হয়েছে " জামায়াত"(আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত)বলে। ইরশাদ হচ্ছেঃ
عن معاوية بن أبى سفيان أنه قام فينا فقال ألا إن من قبلكم من أهل الكتاب افترقوا على ثنتين وسبعين ملة وإن هذه الملة ستفترق على ثلاث و سبعين. ثنتان و سبعون فى النار وواحدة فى الجنة وهى الجماعة .8
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রমাণীত হলো সায়্যিদুনা রাসুল পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ওফাত মুবারকের পরে তাঁর বংশধর ,ছিদ্দীকীন, সাহাবা কিরাম ,আউলিয়া কিরাম এবং শোহাদাগণের পথ অনুসরন হচ্ছে " আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত "অনুসরনের নামান্তর।
উল্লেখ্য যে – ইমাম আবুল হাসান আশয়ারী (ইঃ324হিঃ) এবং ইমাম আবুল মানছূর আল মাতুরীদী (ইঃ333হিঃ) ইমাম দ্বয়কে " আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত " এর ইমাম বলা হয়ে থাকে।এর দ্বারা এ উদ্দেশ্য নয় যে, তাঁদের পূর্বে আহলুস্ সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অস্তিত্ব ছিলনা।বরং সাহাবা কিরাম,তাবেয়ীন এবং তাবে তাবেয়ীন হচ্ছেন এই নামের অধিক উপযুক্ত।
উল্লেখিত ইমামদ্বয়কে " আহলুস্ সুন্নাত ওয়াল জামায়াত " এর ইমাম বলার কারণ হচ্ছে – 35 হিজরী সনে হযরত উসমান(রাঃ)এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে খারিজী ফিত্নার দানা বেঁধে উঠতে আরম্ভ করে।37 হিজরী সনে ছিফ্ফীনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সে ফিতনার সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ ঘটে। তারপর ক্রমান্বয়ে " মুর্যিয়া " " জাবরিয়া " ফেরকারও সূত্রপাত ঘটে। পরবর্তীতে বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম হাসান বাসরী (রাঃ)(ইঃ110 হিঃ) এর দরবারে কতিপয় বিদয়াতী মহান আল্লাহ পাকের জন্য জিসম (শরীর)সাব্যস্ত করার অপচেষ্টা চালায় । তাই তিনি তাদেরকে মজলিসের এক পাশে তাঁড়িয়ে দেন ।পরে তারা " হাশাভীয়্যাহ" ফেরকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে । ইমাম হাসান বাসরী (রাঃ) এর সাথে তাঁর ছাত্র ওয়াছেল বিন আতা (ইঃ131 হিঃ) অবাধ্যতা করে ভ্রান্ত মতবাদ গ্রহন করে। তিনি তাকেও তাঁর মজলিস থেকে তাঁড়িয়ে দেন ।পরবর্তীতে "মুতাজিলা "ফেরকা হিসাবে তারা পরিচিতি লাভ করে ।এভাবে ক্রমান্বয়ে ইসলামের ভিতরে বিভিন্ন বাতিল ফেরকার অনুপ্রবেশ ঘটতে থাকে। আগমন ঘটে ইমাম আবুল হাসান আশয়ারী(রাঃ)এর।তিনি সকল বাতিল ফেরকার ভ্রান্ত মতবাদ খন্ডন করে সঠিক মতাদর্শের উপর পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে বিভিন্ন কিতাব রচনা করেন ।তার সমসাময়িক ইমাম আবুল মানছুর আল মাতুরীদী(রাঃ)ও অনূরুপ খিদমতের আঞ্জাম দেন। এই ইমামদ্বয়ের মতাদর্শকে সারা দুনিয়ার মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক লো্ক ব্যতীত সকলেই গ্রহন করে নেয়।তাইতো তাঁদের সময় থেকে আজ পর্যন্ত কিছু সংখ্যক আলিম ব্যতিত তাঁদের মতাদর্শের পতাকাধারী হয়ে আছেন দুনিয়ার সকল বিখ্যাত ওলামায়ে কিরাম।আজো বিশ্বের অসংখ্য-অগনীত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের "আক্বিদার কিতাব পড়ানো হয়।সহস্র বছরোত্তর ঐতিহ্য ধন্য মিশরের আল্ আযহার বিশ্ববিদ্যালয়েও তাই। ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূমুহে পড়ানো হয়ঃ
العقيدة الطحاوية للإمام أبو جعفر الطحاوى ، المتوفى 321 هــ . العقائــد النسفية لشيخ الإسلام النسفى ، المتوفى 508هـــ . و شرح المواقف للإمام الجرجانى،و الفقه الأكبر للامام أبي حنيفة رضي الله عنهم.
ইত্যাদি আক্বীদার কিতাব সমূহ।সুতরাং প্রমাণীত হলো "আশয়ারী ও মাতুরীদী " অনুসারীগণ যুগ যুগ ধরে " আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত " হিসাবে পরিচিত।সর্ব কালে সর্ব যুগে এ মতাদর্শের ওলামা কিরাম সংখ্যাগরিষ্ঠ।তাই আমাদের অনুসরনের পথ হবে একমাত্র " আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের " পথ। যেহেতু মতানৈকের সময় বড় দলের অনুসরনের আদেশ স্বয়ং সায়্যিদুনা রাসূল পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)করেছেন।হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أنس بن مالك رضى الله عنه يقول : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : إن امتى لا تجتمع على ضلالة فإذا رأيتم اختلافا فعليكم بالسّواد الأعظم ( صدق رسول صلى الله عليه وسلم )9
وفي الحديث الصحيح:يد الله مع الجماعة10


9.ابن ماجه/كتاب الفتن/باب السواد الأعظم.10 رواه الترمذي/كتاب الفتن/باب في لزوم الجماعة

যুগে যুগে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ওলামায়ে কিরাম তথা আমরা যাদের উত্তর সূরীঃ

*ইমামে আযম আবু হানিফা (রাঃ)ইঃ(150হিঃ)*ইমাম মালেক(রাঃ)ইঃ (179হিঃ)*ইমাম শাফেয়ী(রাঃ)ইঃ (204হিঃ)*ইমাম আহামাদ(রাঃ)ইঃ( 241 হিঃ)* ইমাম যুন্নুন মিশরী(রাঃ)ইঃ (245 হিঃ)*ইমাম বুখারী(রাঃ)ইঃ (256 হিঃ)* ইমাম তাবারী(রাঃ)ইঃ(310হিঃ)*ইমাম জুয্যাজ(রাঃ)ইঃ( 311 হিঃ)* ইমাম তাহাবী(রাঃ)ইঃ(321 হিঃ)*ইমাম আবুল হাসান আশয়ারী(রাঃ)ইঃ(324হিঃ)*ইমাম মাতুরিদী(রাঃ)ইঃ(333 হিঃ)*হাফেয ইবনু হিব্বান (রাঃ)ইঃ(354হিঃ)*আবু ওসমান মাগরিবী(রা)ইঃ(373হিঃ) *হাফেয আবু বাকর কেলাবাযী(রাঃ)ইঃ (385হিঃ)*ইমাম খাত্তাবী(রাঃ)ইঃ(388 হিঃ)*হাফেয হালিমী(রাঃ)ইঃ (403 হিঃ)*সাইফুস সুন্নাহ বাকেল্লানী (রাঃ)ইঃ(403 হিঃ)*ইমাম সাহল নিশাপুরী(রাঃ)ইঃ(404হি:)*ইমাম ইবনে ফুরেক আশয়ারী (রাঃ)ইঃ(406হিঃ)*ইমাম আবু আলি মারজুকী (রাঃ)ইঃ(421হিঃ)*হাফেয ইবনে বাত্তাল মালেকী(রাঃ)ইঃ (449 হিঃ)*হাফেয বায়হাকী(রাঃ)ইঃ(458 হিঃ)*ইমাম আব্দুল কারিম কুশায়রী(রাঃ)ইঃ(465 হিঃ)*ইমাম সিরাজী(রাঃ)ইঃ(476 হিঃ)*ইমামুল হারামাঈন(রাঃ)ইঃ(478হিঃ)*ফখরুল ইসলাম বাযদুবী (রাঃ)ইঃ( 482হিঃ)*ইমাম রাগেব ইস্পাহানী(রা)ইঃ(502 ইঃ)*হুজ্জাতুল ইসলাম গাজ্জালী(রঃ)ইঃ (505 হিঃ)*ইমাম নাসাফী(রাঃ)ইঃ(508হিঃ)*ইমাম ইবনে আকিল হাম্বলী(রাঃ)ইঃ(513 হিঃ)*ইমাম ইবনে কুশাইরী(রাঃ)ইঃ(514 হিঃ)*ইবনে রুশদ(রাঃ)ইঃ( 520 হিঃ)*ইমাম নাজমুদ্দিন নাসাফী(রাঃ)ইঃ( 537 হিঃ)*হাফেয ইবনুল আরাবী(রাঃ)ইঃ (543হিঃ)*ইমাম কাজী আয়ায মালেকী(রাঃ)ইঃ( 544 হিঃ)*ইমাম শাহারাস্তানী(রাঃ)ইঃ( 548হিঃ)*ইমাম সিরাজ উদ্দিন আউশী(রাঃ)ইঃ (569হিঃ)*হাফেয ইবনে আসাকের দামেস্কী(রাঃ)ইঃ( 571হিঃ)*ইমাম আহামাদ কাবির রেফায়ী(রাঃ)ইঃ( 578 হিঃ)*মুজাহিদ সালাহ উদ্দিন আইউবী(রঃ)ইঃ(589 হিঃ)*হাফেয ইবনুল যাওজী(রাঃ)ইঃ( 597 হিঃ)*ইমাম হেবাতুল্লাহ মক্কী(রাঃ)ইঃ (599হিঃ)*হাফেয ইবনে আসির(রাঃ)ইঃ( 606হিঃ)*ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী(রাঃ)ইঃ(606 হিঃ)*ইমাম ফাখরুদ্দীন ইবনে আসাকের ইঃ(602 হিঃ)*ইমাম ইব্রাহিম শায়বানী(রাঃ)ইঃ (629 হিঃ)*উছুলী সাইফুদ্দীন আমদী(রাঃ)ইঃ(631হিঃ)*ইমাম জামালুদ্দীন হুছাইরী(রা)ইঃ(636হিঃ)*সুলতানুল ওলামা(রা)ইঃ(660হিঃ)*ইমাম আবু শামা মাকদিসী(রাঃ)ইঃ (665হিঃ)*ইমাম কুরতুবী মালেকী(রাঃ)(671হিঃ)*ইমাম নববী(রাঃ)ইঃ(676হিঃ)*ইমাম জাকারিয়া কাযবানী(রাঃ)ইঃ(682হিঃ)*ইমাম কারাফী মালেকী(রাঃ)ইঃ(684হিঃ)*ইমাম বায়যাবী(রাঃ)ইঃ (685হিঃ)*হাফেয ইবনে মুনির(রাঃ)ইঃ(695হিঃ)*হাফেয ইবনে আবি যামরাহ(রাঃ)ইঃ(699 হিঃ)*হাফেয ইবনে দাকীক ঈদ(রাঃ)ইঃ(702হিঃ)*ইমাম ইবনে আতাউল্লাহ ইসকান্দারানী(রাঃ)ইঃ (709হিঃ)*ইমাম হাফিজুদ্দীন নাসাফী(রাঃ)ইঃ( 710হিঃ)*ইমাম ইবনে মানযুর আফ্রিকী(রাঃ)ইঃ (711হিঃ)*হাফেয ইবনে জামায়া(রাঃ)ইঃ (733হিঃ)*ইমাম ইবনে যাহবাল(রাঃ)ইঃ (733হিঃ)*ইমাম ইবনুল হায মাগরেবী,মালেকী(রঃ)ইঃ(737হিঃ)*ইমাম খাযেন(রাঃ)ইঃ(741হিঃ)*সম্রাট ইবনে কালাওন(রাঃ)ইঃ(741হিঃ )*হাফেয নাছিরুদ্দীন দামেষ্কী ইঃ (৭৪২হিঃ )* ইমাম তিবী(রাঃ)ইঃ (743হিঃ)*শাইখুল ইসলাম তাকী উদ্দিন সুবকী(রাঃ)ইঃ (756হিঃ)*হাফেয সালাহ উদ্দিন আলায়ী(রাঃ)ইঃ (761হিঃ)*ইমাম ইয়াফেয়ী ইয়ামানী(রাঃ)ইঃ (768হিঃ)*ইমাম ইবনে সুবকী(রাঃ)ইঃ (771হিঃ)*ইমাম কিরমানী(রাঃ)ইঃ (786হিঃ)*ইমাম সাতাবী (রাঃ)ইঃ (790হিঃ)*ইমাম তাফতাযানী(রাঃ)ইঃ (792হিঃ)*ইবনে খালদুন(রাঃ)ইঃ (808হিঃ)*হাফেয নূরুদ্দিন হাইছামী(রাঃ)ইঃ (808হিঃ)*হাফেয ইরাকী(রাঃ)ইঃ (826হিঃ)*ইমাম তকী উদ্দিন হিসনী(রাঃ)ইঃ (829হিঃ)*শাইখুল ইসলাম হাফেয ইবনে হাজার(রাঃ)ইঃ(852হিঃ)*ইমাম বাদরুদ্দিন আইনী(রাঃ)ইঃ (855হিঃ)*ইমাম জালালুদ্দিন মাহাল্লী(রাঃ)ইঃ(868হিঃ)*ইমাম ইবনে আমিরুল হাজ হানাফী(রাঃ)ইঃ( 879হিঃ)*ইমাম বুরহানুদ্দিন বাকায়ী(রাঃ)ইঃ( 885হিঃ)*ইমাম সানুছী(রাঃ)ইঃ (895হিঃ)*ইমাম রুমী হানাফী(রাঃ)ইঃ (901হিঃ)*ইমাম আসমুনী(রাঃ)ইঃ(902হিঃ)*হাফেয সাখাবী(রাঃ)ইঃ (902হিঃ)*ইমাম খালেদ আযহারী(রাঃ)ইঃ( 905হিঃ)*হাফেয জালালুদ্দীন সুয়ূতী(রাঃ)ইঃ( 911হিঃ)*হাফেয কাস্তাল্লানী(রাঃ)ইঃ (923হিঃ)*হাফেয ইবনে তুলুন হানাফী(রাঃ)ইঃ (953হিঃ)*ইমাম শায়ারানী(রাঃ)ইঃ (973হিঃ)*হাফেয ইবনে হাযার মক্কী(রাঃ)ইঃ (974হিঃ)*ইমাম খাতীব সারবিনী(রাঃ)ইঃ( 977হিঃ)*ইমাম রামলী(রাঃ)ইঃ (1004হিঃ)*ইমাম মুল্লাহ আলী কারী হানাফী(রাঃ)ইঃ (1014হিঃ)*ইমাম লাক্কানী(রাঃ)(1041হিঃ)*ইমাম ইবনে মুকরী (রাঃ)ইঃ (1041হিঃ) *ইমাম শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী ইঃ( 1052 হিঃ) *ইমাম ইবনে আল্লান মাক্কী (রাঃ)ইঃ (1057হিঃ)*ইমাম ইব্রাহীম লাক্কানী মালেকী(রাঃ)ইঃ (1078হিঃ)*ইমাম কামাল উদ্দিন বিয়াদী হানাফী(রাঃ)ইঃ (1098হিঃ)*ইমাম মুহিব্বুল্লাহ বিহারী (রাঃ)ইঃ (1119হিঃ)*ইমাম আব্দুল বাকী যুরকানী(রাঃ)ইঃ (1122হিঃ)*ইমাম আলাভী হাদ্দাদ হাদারামী(রাঃ)ইঃ (1132হিঃ)*ইমাম সিন্দী হানাফী(রাঃ)ইঃ (1138হিঃ)*ইমাম আব্দুল গণী নাবলুসী(রাঃ)ইঃ( 1143হিঃ)*ইমাম দারদিরী মালেকী(রাঃ)ইঃ (1201হিঃ)*হাফেয মুরতাদা যুবায়দী(রাঃ)ইঃ (1205হিঃ)*ইমাম খালিল মুরাদী(রাঃ)ইঃ (1206হিঃ)*শাহ আব্দুল আযীজ মুহাদ্দীস দেহলভী (রাঃ)ইঃ (1239হিঃ)*ইমাম ফকীহ ইবনে আবেদীন শামী(রাঃ)ইঃ(1252)হিঃ*ইমাম আলূছী বাগদাদী(রাঃ)ইঃ( 1270হিঃ) *ইমাম খালেদ নক্সেবন্দী(রাঃ)ইঃ( 1299হিঃ)* ইমাম আঃহাই লাকনাভী(রাঃ) (1304হিঃ) *ইমাম আহম্মাদ রেযা খাঁন বেরলভী(রাঃ)ইঃ(1340হি) * ইমাম নাবহানী (রাঃ)ইঃ(1350হিঃ) *মুফতী সায়্যিদ মুহামমদ আমীমুল ইহসান(রাঃ) ( ইঃ1394হিঃ)*শাহ সূফী নেছারুদদীন আহমাদ ছারছীনাভী(রাঃ) (1952ইং) *শাহ সূফী আবূ জাফর মুহামমাদ ছালিহ ছারছীনাভী (রাঃ) (1990ইং )*সায়্যিদ আলাভী মালিকী মাককী(রাঃ) *প্রফেসর বোরহান উদদীন ওয়েসী আহমাদী(রাঃ)*শেরে বাংলা আযীযুল হক(রাঃ)**শাইখুল আযহারগণের তালিকা(যারা আহলুস্সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঝান্ডাবাহী ছিলেন)-ঃ*মুহাম্মাদ আল খারাসী ইঃ(1690ইং)*ইব্রাহীম আল বারমাভী ইঃ(1694ইং)*মুহাম্মাদ আন্নাশ্রাতী ইঃ(1708ইং)*আব্দুল বাকী ইঃ(1719ইং)*মুহাম্মাদ শানান ইঃ(1721ইং)*ইব্রাহীম আল ফাইওমী ইঃ(1725ইং)* *মুহাম্মাদ আল হাফনী ইঃ(1767ইং)*আব্দুর রাঊফ আস সাজানী ইঃ( 1768ইং) *আব্দুল্লাহ আশশাব্রাভী ইঃ(1775ইং)*আহমাদ আদ দামানহুরী ইঃ(1776ইং)*আহমাদ আল আরূসী ইঃ(1793ইং)*আব্দুল্লাহ আশ্ শারকাভী ইঃ(1812ইং)*মুহাম্মাদ আশ্ শানওয়ানী ইঃ(1818ইং)*মুহাম্মাদ আল-আরূসী ইঃ(1829ইং)* আহমাদ আদ-দামহূজ়ী ইঃ(1830ইঃ )* হাসান আল আত্তার ইঃ(1834ইঃ) * হাসান আল কাওসীনী ইঃ (1838ইং)* আহমদ আব্দুল আল-জাওয়াদ আল-সাকতী ইঃ(1848ইং)* ইব্রাহীম আল-বাজূরী ইঃ(1860ইং) *শামসুদ্দীন আল-ইনবাবী ইঃ(1892ইং)*মোহাম্মদ আল-মাহদী আল –আব্বাসী ইঃ(1898ইং)*মোস্তাফা মোহাম্মদ আল-আরূসী ইঃ(1876ইং)*সালিম বিন আবি ফারাজ ইঃ(1916ইং)*হাসূনা আল-নাওয়াভী ইঃ(1924ইং)*আব্দুর রহমান আল-নাওয়াভী ইঃ(1900ইং)*আলী মোহাম্মদ আল-বাবলাভী ইঃ(1905ইং)* আব্দুর রাহমান আশ-শারবীণী ইঃ(1926ইং)* মোহাম্মদ আবুল ফজল আলজীজাভী ইঃ(1928ইং) * মোহাম্মদ আল-আহমদ আদ-দাওয়াহিরী ইঃ(1944ইং) * মোহাম্মদ মোস্তাফা আল-মোরাগী ইঃ(1945ইং) *আব্দুল মাজীদ সালিম ইঃ(1945ইং) * মোস্তাফা আব্দুর রাজ্জাক ইঃ(1947ইং)* মোহাম্মদ মামুন আশ-শাণাবী ইঃ(1950ইং, ) * মোহাম্মদ খাদির হাসান ইঃ(1958ইং)* *ইব্রাহীম ইব্রাহীম হামরূশ ইঃ(1960ইং) মাহমুদ শালতুত ইঃ(1963ইং)*হাসান মামুণ ইঃ(1973ইং)*আব্দূর রাহমান তাজ ইঃ(1975ইং)*মুফতি আযাম হিন্দ মো্স্তাফা রেজা খান* মোহাম্মদ আল ফাহহাম * মোহাম্মদ আব্দুর রাহমান বিছার *আব্দুল হালীম মাহমুদ ইঃ (1978ইং)* জাদুল হাক আলী জাদুল হাক ইঃ(1996ইং) রাদিআল্লাহু আনহুম।


আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ

নিম্নে ইতিকাদ গত এবং বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা মূলক মাসয়ালা গত কিছু মতাদর্শ তুলে ধরা হলোঃ

**মহান আল্লাহ তায়ালা সংক্রান্তঃ**

 মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য জিসিম (শরীর)সাব্যস্ত করা কুফুরী।
 এক মাত্র আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন কাদীম (অনাদী) । কোন সৃষ্টির জন্য " কাদীম " সাব্যস্ত করা যাবেনা । যেমন পৃথিবীকে কাদীম (অনাদী) বলা।
 আরশ আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি । স্রষ্টা সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নন ।তাই তিনি আরশের উপর সমাসীন বা স্থির বা উপবিষ্ট ইত্যাদী মতবাদ পোষন করা কুফুরী।
 আল্লাহ তায়লার জন্য স্থান ,কাল ,দিক ইত্যাদী নির্ধারন করা হারাম।এগুলি সব কিছুই তাঁর সৃষ্টি।
 আল্লাহ তায়ালার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে (নুযূল )বা অবতরন সাব্যস্ত করা নিষেধ ।


**সায়্যিদুনা রাসুল পাক(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সম্পৃক্তঃ**


 তিনি সকল সৃষ্টি জীব থেকে শ্রেষ্ট ।
 তিনি স্ব-শরীরে জাগ্রত অবস্থায় মিরাজে গিয়েছেন ।
 মিরাজে তিনি স্ব-চোখে আল্লাহ তায়লার দীদার লাভ করেছেন ।
 তিনি নূর ।
 তিনি বাশারওবটে। তবে আমাদের মতো(বাশার)মানুষ নয় ।
 আল্লাহ তায়ালা তাঁকে গায়িব শিক্ষা দিয়েছেন।তাই তিনি তত পরিমান গায়িব জানেন যত পরিমান মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবীবকে শিক্ষা দিয়েছেন ।
 ইয়া রাসুলাল্লাহ বলে সম্বোধন করা শিরক নয় বরং মুস্তাহাব।
 জাগ্রত অবস্থায় প্রিয় হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দীদার সম্ভব ।
 রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রওজ়া মো্বারকে স্ব-শরীরে জীবিত আছেন ।
 কিয়ামত পর্যন্ত এবং কিয়ামতের ময়দানেও তাঁর উসীলা কামনা করা জায়েয ।
 প্রিয় হাবীব(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিয়ামতের ময়দানে তাঁর উম্মতের জন্য শাফায়াত করবেন ।
 সমস্ত নাবী-রাসুলগণ মাছূম (ছোট কিংবা বড় সব গুনাহ থেকে মুক্ত) ।
 ঈদে মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করা মুস্তাহাব ।
 মীলাদ শরিফে সালাতু-সালাম পাঠ করার সময় (কিয়াম)বা দাঁড়ানো জায়েয ।
 নাবী-রাসুল (আলাইহিমু সালাত ওয়াস সালাম)ও আউলিয়া কিরামগণের (রাদিয়াল্লাহু আলাইহিম) কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা মুস্তাহাব ।
 রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পিতা-মাতা ফিতরাতের উপর ইন্তিকাল করেছেন । তাঁরা জান্নাতী ।
 রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামের আগে " সায়্যিদুনা " শব্দ যোগ করা মুস্তাহাব ।
 রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রওজ়া মো্বারক যিয়ারতের সময় রওযামূখী হয়ে দো্যা করা আদাব ।
 তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্ব প্রথম সৃষ্টি ।
 রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নাম শুনে উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি চুমু খাওয়া এবং উহাদের চোখে মাছেহ করা মুস্তাহাব ।


**আউলিয়া কিরামের সাথে সম্পৃক্তঃ**


 আউলিয়া কিরামের কারামাত সত্য ।
 তাঁদের মাযার যিয়ারাতে যাওয়া মুস্তাহাব ।
 তাঁদের মাজারকে ইবাদতের উদ্দ্যশ্যে সিজদা করা শিরক, তাজীমের উদ্দেশ্যে সিজদা করা হারাম
 ইছালে ছাওয়াব মাহফিল বা ঊরস করা বৈ্ধ ।
 শোহাদা ও আউলিয়া কিরাম তাঁদের কবরে জীবিত ।


**অন্যান্যঃ**

 বিদায়াত দুই প্রকারঃ হাসানাহ ও সায়্যিয়াহ ।
 কাশফ সত্য ।
 ইলহাম সত্য ।
 শবে বরাত , মিরাজ,লাইলাতুল কদর,ইত্যাদী উদযাপন করা বৈ্ধ ।
 দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে কোন নেক আমাল করা বৈ্ধ ।
 তাসবীহের দানা ব্যবহার বৈ্ধ ।
 ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যঈফ হাদিস দারা আমাল করা বৈ্ধ ।
 আউয়্যাবীন নামায আদায় করা মুস্তাহাব ।
 ফারজ নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা সুন্নাতে মুস্তাহাব্বাহ ।
 আউলিয়া কিরাম , পিতা-মাতা,উস্তাদগণ প্রমূখের হাত-পা চুমু খাওয়া বৈ্ধ ।
 মৃত ব্যক্তি মুসলিম হলে জানাযার পূর্বে ভালো ছিল বলে সাক্ষী দেওয়া বৈ্ধ ।
 জানাযা কে নামায বলা হয়, দো্য়া বলা হয় না ।

উপরোক্ত প্রত্যেকটি মতাদর্শ বিস্তারিত দালীল-প্রমানাদীর মাধ্যমে সাব্যস্ত রয়েছে ।
পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে মো্নাজাত ,তিনি যেন তাঁর হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর উসীলায় আমাদেরকে " আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের " উত্তরসূরী হওয়ার তৌফিক দান করেন । আমিন